খবরের কাগজ খুললেই ভারী ভারী শব্দ মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্যসংকট, রিজার্ভ। এই সময়ে কেমন আছেন গ্রামের মানুষেরা? জানতে আমরা গেলাম জোড়গাছ হাটে। কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারীর জোড়গাছের জমজমাট এই হাট বসে সপ্তাহে দুইদিন, রবিবার ও বুধবার। ব্রহ্মপুত্র নদ পেড়িয়ে আমরা হাটে গেলাম ইঞ্জিনের নৌকায়। সড়কপথেও অটোরিক্সাতেও আসেন দূরদুরান্ত থেকে গ্রামীন জনপদগুলোর হাটুরেরা।
হাটে মানুষের উপস্থিতি খুব কম। আগে জমজমাট এই হাটে এখন মানুষের উপস্থিতিও কমে গেছে বলে জানালেন কয়েকজন বিক্রেতা। মানুষ যেমন কম, বিক্রিও তেমনি কমে গেছে। কারণ জানতে চাইলাম হাটুরেদের কাছে। কিভাবে দিন কাটাচ্ছেন তাহলে এই মানুষগুলো? রসগোল্লাসহ অন্যান্য মিষ্টান্নও তেমন কিনছেন না লোকজন। বাকিতে খাবার কিনে দিন চালাচ্ছেন অনেকেই, জানালেন তারা।
এই অভাবের সময়েও কিন্তু থেমে নেই খাজনার উৎপাত। এই্ সামান্য আয়েও ভাগ বসাচ্ছে বাজারের খাজনাদাররা ঘাটের ইজারাদারও জানালেন জ্বালানি ও দ্রব্যমূলের বৃদ্ধিতে তার দুরাবস্থার কথা দেখা হলো পাল সম্প্রদায়ের দুজন নারীর সাথে। তাদের হাড়িপাতিল বানাবার মাটি আসে পাশের জেলা গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সীচ থেকে।হাতে টাকা নাই বলে মাটি আনতে পারছেন না। অভাব তাদের ছাড়ছে না।
 
                                     
                                            
                                             
                                            
                                             
                                            
                                            