শুক্রবার ১৫ই চৈত্র ১৪৩০ Friday 29th March 2024

শুক্রবার ১৫ই চৈত্র ১৪৩০

Friday 29th March 2024

সংস্কৃতি চলচ্চিত্র-নাটক

কথার ছোড়াছুড়িতে কোনঠাসা চলচ্চিত্র

২০২২-০৭-১৮

বিধান রিবেরু

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংস্কৃতি ভিন্ন দিকে মোড় নিচ্ছে। এতদিন যারা পোশাক শ্রমিক, সাধারণ শ্রমজীবী ও গ্রামাঞ্চলের মানুষদের লক্ষ্য করে সিনেমা বানাতেন, তাদের উৎপাদন শুকিয়ে এসেছে। জোয়ার এসেছে মধ্যবিত্তের জন্য বানানো চলচ্চিত্রে। খেয়াল করলে দেখা যায়, গত দেড় যুগের ধারাবাহিকতা থমকে গেছে এবারের ঈদুল আজহায়, বাংলাদেশের এক নম্বর নায়ক হিসেবে পরিচিত শাকিব খানের কোনো ছবি মুক্তি পায়নি এবার। যে তিনটি ছবি মুক্তি পেয়েছে তার সবকটিই মধ্যবিত্ত দর্শকদের উদ্দেশ্য করে বানানো। ছবির আধেয় দেখলেই তা বোঝা যায়। নাম দেখেও আন্দাজ করা যায়।

 

 

একটি ছবির নাম ‘দিন-দ্য ডে’, ছবিতে নায়ক অন্তত জলিল জেমস বন্ড হওয়ার চেষ্টা করেছেন, তবে নায়িকা বর্ষাকে বন্ডগার্লের মতো করে নয়, উপস্থাপন করা হয়েছে ইরানি তরিকায়, রক্ষণশীল ভঙ্গিতে। ছবির পরিচালকও অবশ্য ইরানের, মুর্তজা অতাশ জমজম। আরেকটি ছবির নাম ‘সাইকো’। তৃতীয় ছবির নাম ‘পরাণ’। দুটি ছবির নামেই ইংরেজি থাকা কাকতালীয় কোনো ব্যাপার নয়। আর তৃতীয় ছবির নামে কাব্যিক ভাবটাও মধ্যবিত্ত ঘেঁষা। 

 

 

এতদিন এফডিসি ভিত্তিক চলচ্চিত্র পরিবার বা সমিতিগুলোর নির্বাচন ও বনভোজনের খবরই বেশি শুনেছি আমরা। অন্তত গত কয়েক বছর। মাঝে সমিতির পদ নিয়ে কাঁদা ছোড়াছুড়ি, পিস্তল দিয়ে হত্যার হুমকি, মামলা ইত্যাদি করে তারা এখন ক্লান্ত। তারা আজকাল ছবি আর তেমন বানাচ্ছেন না, বা বানালেও তা নিয়ে সেভাবে আলোচনা হচ্ছে না। ছবি বানাচ্ছেন এফডিসির বাইরে থাকা লোকজন। এবং স্বাধীনভাবে যারা ছবি বানাচ্ছেন তাদের নির্মাণ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে মধ্যবিত্তের পরিসরে।

 

 

সেরকম দেখলাম অনন্ত জলিল আক্রমণ করছেন অনন্য মামুনকে। নায়িকা বর্ষা আক্রমণ করছেন পরীমনি, অপু বিশ্বাস ও মীমকে। অবশ্য ওই তিন নায়িকার দুজন বেশ শালীন জবাব দিয়েছেন। এসব জবাব ও পাল্টা জবাব নিয়ে মিডিয়া পাড়া বেশ গরম। এসব আলাপের ঝড়ের ভেতর ‘পরাণ’ ছবির কাহিনী ও ‘দিন-দ্য ডে’র অভিনয় নিয়ে কথা বলছেন দর্শক।

 

 

 

কিন্তু আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলাম, এফডিসি কেন্দ্রিক চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা কিছুদিন আগে যেমন ব্যক্তি আক্রমণ করছিলেন একে অপরকে, যেমন জায়েদ খান করছিলেন ওমর সানীকে, আবার নিপুণ জায়েদ খানকে; সেরকম দেখলাম অনন্ত জলিল আক্রমণ করছেন অনন্য মামুনকে। নায়িকা বর্ষা আক্রমণ করছেন পরীমনি, অপু বিশ্বাস ও মীমকে। অবশ্য ওই তিন নায়িকার দুজন বেশ শালীন জবাব দিয়েছেন। এসব জবাব ও পাল্টা জবাব নিয়ে মিডিয়া পাড়া বেশ গরম। এসব আলাপের ঝড়ের ভেতর ‘পরাণ’ ছবির কাহিনী ও ‘দিন-দ্য ডে’র অভিনয় নিয়ে কথা বলছেন দর্শক। তৃতীয় ছবিটি চায়ের কাপে তরঙ্গ ছড়াতে পারেনি। সিনেমা হলগুলোতে ‘দিন-দ্য ডে’ ও ‘পরাণে’র যত দর্শক দেখা যাচ্ছে তার অধিকাংশই মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত। মাল্টি স্ক্রিনের সিনেপ্লেক্সগুলোও সেই সাক্ষ্য বহন করছে।

 

 

এটা একদিক দিয়ে ইতিবাচক ব্যাপার যে মানুষ ছবির কাহিনী ও অভিনয় নিয়ে কথা বলছে। আসন্ন আরেকটি ছবি ‘হাওয়া’র ‘সাদাসাদা-কালাকালা’ গানটি নিজেদের মতো করে গাইছে আর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে দিচ্ছে। খেয়াল করার বিষয় এই গানটির জন্মও কিন্তু চারুকলায় মধ্যবিত্ত বলয়ে এবং এখন গানটি চর্চিত হচ্ছে মধ্যবিত্ত সংস্কৃতিতেই। অর্থাৎ শ্রমজীবী মানুষের জন্য যারা ছবি বানাতেন, যার বেশিরভাগই থাকত সহিংসতা ও যৌনতায় ভরপুর, তারা ফুরিয়ে গেছেন, আবির্ভাব ঘটেছে নতুন নির্মাতা গোষ্ঠীর, তারা ছবি বানাচ্ছেন মধ্যবিত্তের জন্য। সহিংসতা ও যৌনতাকে তারা ভালগার করে ফেলছেন না। তাদের ছবিতে বড় তারকা নেই, তাদের ছবির গল্পটাই নায়ক। চলচ্চিত্রের এই ধরনটি মধ্যবিত্ত শিক্ষিত দর্শকদের রুচির কাছাকাছি। একক নায়ক সর্বস্ব কাহিনী, যেখানে নায়কই সব সাঙ্গ করে দেয়, সে ধরনের ছবির যুগ ফুরিয়েছে। হলিউডেও দেখবেন আয়রনরম্যানের ছবি হলেও সেখানে আমদানি করতে হয় স্পাইডারম্যানকে। তারা এখন একক হিরো নিয়ে ছবি বানানো থেকে সরে আসছে। পশ্চিমারা এখন পুরস্কার দিচ্ছে ‘প্যারাসাইট’ কিংবা ‘ড্রাইভ মাই কারে’র মতো গল্পপ্রধান চলচ্চিত্রকে।

 

 

আমরা এখনো পুরোপুরি গল্পপ্রধান চলচ্চিত্র বানাতে অভ্যস্ত হয়ে উঠিনি। এক চিমটি হলেও সেখানে গানবাজনা ঢুকিয়ে দিই, যদি দর্শকের গানবাজনা ছাড়া ছবি দেখতে খারাপ লাগে! গানবাজনা খারাপ কিছু নয়, তাহলে পুরো দস্তুর মিউজিকাল ফিল্ম হতে পারে অথবা একটি গানের কিছু অংশ ব্যবহার করা যেতে পারে। শিল্পে শেষ কথা বলে কিছু নেই, গান যদি ঠিকঠাক ব্যবহার করা যায় তাহলে সেই ছবিও হয়ে উঠতে পারে ভালো ছবি। তো যা বলছিলাম, ছবি নিয়ে যে মানুষের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে এটা ভালো ব্যাপার। তবে একে অপরকে ব্যক্তি আক্রমণের যে সংস্কৃতি আমরা দেখছি, সেটিকে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।

 

 

এমন কান ধরে ওঠবস করানোর হুমকি, বা অন্য নায়িকা সন্তান লুকিয়েছেন, আরেক নায়িকা নেশাগ্রস্ত, অন্য আরেকজন বিয়েতে স্পন্সর করা শাড়ি পরেছেন ইত্যাদি বলে ব্যক্তি আক্রমণ কেউ কখনো করেননি। তাহলে প্রশ্ন হলো এসব চলচ্চিত্র সংস্কৃতিতে এলো কি করে?

 

 

এটা কি কেবল চলচ্চিত্রের সংস্কৃতি? বা চলচ্চিত্র অঙ্গনে কি শাবানা-ববিতা-কবরীদের আমলে এমন কথার কাঁদা ছোড়াছুড়ি হয়েছে, তাও মিডিয়ায় এসে? যতটুকু স্মরণ করা যায়, এমনটি দেখা যায়নি। পেশাগত কারণে ঈর্ষা ছিল, কিন্তু এমন কান ধরে ওঠবস করানোর হুমকি, বা অন্য নায়িকা সন্তান লুকিয়েছেন, আরেক নায়িকা নেশাগ্রস্ত, অন্য আরেকজন বিয়েতে স্পন্সর করা শাড়ি পরেছেন ইত্যাদি বলে ব্যক্তি আক্রমণ কেউ কখনো করেননি। তাহলে প্রশ্ন হলো এসব চলচ্চিত্র সংস্কৃতিতে এলো কি করে? এমনিতেই এফডিসি ভিত্তিক সংগঠনের নায়ক-নায়িকা, পরিচালক-প্রযোজক তারা সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরস্পরের বিরুদ্ধে নানারকম কথা বলে আসছিলেন গত কয়েক বছর ধরেই।

 

 

এটা কি বিচ্ছিন্ন কোনো সংস্কৃতি? আমার তা মনে হয় না। এই সংস্কৃতি আমাদের সর্বত্র বিরাজ করছে এখন। এমনকি রাজনীতির দিকে তাকালেও আমরা দেখবো, পদ্মা নদীতে চুবানোর কথা এসেছে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। ক্রিকেটেও ‘পঞ্চপাণ্ডব’ বিতর্ক উঠেছে এবং তা নিয়ে কথা ছোড়াছুড়ি কম হয়নি। রাজনীতি থেকে চলচ্চিত্র সর্বত্র যে কথার বাণ উড়ে বেড়াচ্ছে তার একটা বড় কারণ আমাদের সহিষ্ণুতা কমে গেছে। যে যত গণতান্ত্রিক সে তত সহিষ্ণু। কারণ গণতন্ত্রের মূল কথাই হলো অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং অন্যের মতকে গুরুত্ব দেওয়া। কিন্তু আজকাল কেউ মত দেন না, তাৎক্ষণিক মন্তব্য করেন, তাও বাজে মন্তব্য। এবং অপর পক্ষ সেই মন্তব্যকে এড়িয়ে যান না, দক্ষ ক্রিকেটারের মতো ক্যাচ নিয়ে উল্টো ছুড়ে মারেন প্রতিপক্ষের দিকে। ধৈর্য্যশক্তি নেই কারও।

 

 

একটি সমাজে সহনশীলতা, সহিষ্ণুতা বা শ্রদ্ধার সংস্কৃতি তখনই তৈরি হয় যখন ওই সমাজে তিনটি জিনিস ঠিকঠাক থাকে: রাজনীতি, অর্থনীতি ও শিক্ষা। খালি চোখেই দেখা যাচ্ছে এই তিনের অবস্থা যারপরনাই খারাপ। রাজপথে কোনো মিছিল নেই, প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি নিয়ে কারো প্রতিবাদ নেই, জবাবদিহিতা নেই, সরকারের সমালোচনা করা প্রায় ব্লাসফেমির পর্যায়ে পড়ছে; অপরদিকে অর্থনীতির ক্ষেত্রে লঙ্কাকাণ্ড বাংলাদেশেও ঘটে যেতে পারে বলে শঙ্কা করছেন অনেকে, ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে দাঁড়িয়েছে একশর বেশি, খবরে বেরিয়েছে ‘চড়া দামেও মিলছে না ডলার’, আর শিক্ষা? সে তো বহুদিন ধরেই বহু শাখায় বিভক্ত, প্রশ্নফাঁস ও নকলের উৎসব, সিলেবাস নিয়ে বিশেষজ্ঞ মত দিচ্ছে মৌলবাদী সংগঠনগুলো এবং সেগুলো মানা হচ্ছে, আর করোনার কাঁধে বন্দুক রেখে শিক্ষা কার্যক্রমটাকেই উধাও করে দেওয়ার দশা হয়েছে প্রায়। অটো পাশের পর এখন দিনের পর দিন শুধু পরীক্ষার তারিখ পেছাচ্ছে।

 

 

কারও পয়সা থাকলেই সে যে নায়ক হতে পারে না, সেটা বোঝা দরকার আগে। নায়ক বা অভিনয় শিল্পী যাই বলি না কেন, তা হওয়ার জন্য যে ন্যূনতম অভিনয় জানা থাকতে হয়, উচ্চারণ শুদ্ধ হতে হয়, সেই বোধ থাকাটা জরুরি।

 

 

 

পরীক্ষা সব জায়গাতেই দিতে হয়। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রেরও পরীক্ষা চলছে। আজকের দুনিয়ায় তীব্র প্রতিযোগিতার ভেতর কোন দেশের চলচ্চিত্র কতটুকু শক্তিমত্তা নিয়ে হাজির হবে তা অনেকটা নির্ভর করছে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের উপর। কারও পয়সা থাকলেই সে যে নায়ক হতে পারে না, সেটা বোঝা দরকার আগে। নায়ক বা অভিনয় শিল্পী যাই বলি না কেন, তা হওয়ার জন্য যে ন্যূনতম অভিনয় জানা থাকতে হয়, উচ্চারণ শুদ্ধ হতে হয়, সেই বোধ থাকাটা জরুরি। অর্থাৎ গ্রিক দার্শনিক সক্রাতিসকে না হোক, নিদেনপক্ষে চীনের কনফুসিয়াসের নাম যদি কেউ জানে, বা না জানলেও তাদের চর্চিত ধারণাটি যদি কারো ভেতর থাকে যে—আমি কি জানি না, সেটা আমি জানি—তাহলে একশ কোটি টাকার শ্রাদ্ধ যেমন হয় না, তেমনি এই পরিমাণ টাকা দিয়ে অন্তত পঞ্চাশটি মানসম্মত ছবিও তৈরি হয়।

 

 

ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নয়া বাস্তববাদী ধারা বা নয়া তরঙ্গের ছবিগুলোর কথা ভাবুন। কত কম বাজেটে তারা কত উঁচুদরের ছবি বানিয়েছেন। শুধু চিন্তার স্বচ্ছতার কারণে। আর বাংলাদেশে এক থেকে দুই কোটি টাকায় অনেক ভালো ছবি বানানো সম্ভব, শুধু চিন্তার পরিচ্ছন্নতা থাকতে হবে। এবং নিজের সক্ষমতার পাশাপাশি অক্ষমতাকেও জানতে হবে। তাহলেই সম্ভব। বৈরি পরিবেশ, প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ও দুর্বল অর্থনীতির ভেতরেও ভালো ছবি করা যায়।

 

 

ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নয়া বাস্তববাদী ধারা বা নয়া তরঙ্গের ছবিগুলোর কথা ভাবুন। কত কম বাজেটে তারা কত উঁচুদরের ছবি বানিয়েছেন। শুধু চিন্তার স্বচ্ছতার কারণে। আর বাংলাদেশে এক থেকে দুই কোটি টাকায় অনেক ভালো ছবি বানানো সম্ভব, শুধু চিন্তার পরিচ্ছন্নতা থাকতে হবে। এবং নিজের সক্ষমতার পাশাপাশি অক্ষমতাকেও জানতে হবে। তাহলেই সম্ভব। বৈরি পরিবেশ, প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ও দুর্বল অর্থনীতির ভেতরেও ভালো ছবি করা যায়। বিশ্বযুদ্ধ উত্তর দুনিয়ার কথা বললাম, লাতিন আমেরিকার ছবিগুলোর দিকে তাকান, ইরানের সহজ-সরল প্লটের ছবিগুলো দেখুন।

 

 

আমাদের এখানে যারা ছবি বানাচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই রাজনীতি সচেতন নন, সাহিত্য তো পড়েনই না, তারা কেবল বিদ্যমান সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার ভেতর মুনাফার সন্ধান করেন। আর সন্ধান করেন রাতারাতি তারকা হওয়ার স্বল্পদৈর্ঘ্যের পথ। চিন্তার পরিপক্কতা যে শিল্প ও সাফল্যের মনিকাঞ্চনের জন্ম দিতে পারে, সে ধারণা তাদের নেই। তারা বিদ্যমান সংস্কৃতিতে গা ভাসানো গড্ডল। তো গড্ডলিকা প্রবাহে প্রতিকূলে বৈঠা মারা মাঝির কব্জিতে যে জোর থাকে, ভালো শিল্প বা চলচ্চিত্র বানাতে গেলে সেই জোর লাগে, প্রত্যয় লাগে এবং চিন্তার অনুশীলন লাগে। এসব ছাড়া অন্তঃসারশূন্য স্বল্পায়ুর চলচ্চিত্র আর অসুস্থ বিপননের পালে হাওয়া দেওয়া কথার কাঁদা ছোড়াছুড়িই হবে কেবল। কাজের কাজ কিছু হবে না।

 

 

বিধান রিবেরু

লেখক, চলচ্চিত্র সমালোচক ও সাংবাদিক

Your Comment