শনিবার ১২ই শ্রাবণ ১৪৩১ Saturday 27th July 2024

শনিবার ১২ই শ্রাবণ ১৪৩১

Saturday 27th July 2024

প্রচ্ছদ প্রতিবেদন

এনটিআরসিএ'র উদ্ভট প্রক্রিয়ার শিকার হাজারও নিয়োগপ্রার্থী

২০২২-০৮-০৪

আবু রায়হান খান

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে চাকুরি বঞ্চিত হচ্ছেন প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি সনদ প্রাপ্ত শিক্ষক। ১ম থেকে ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় শূণ্য পদের বিপরীতে উত্তীর্ণ হয়েও মিলছে না চাকরি। উলটো এনটিআরসিএর উদ্ভট নিয়মের কারণে আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠানে একই পদে নিয়োগের জন্য শত শত আবেদন করতে একেকজন নিয়োগপ্রার্থীকে গুনতে হচ্ছে বিপুল পরিমান টাকা। এই অনিয়ম আর ভোগান্তির প্রতিবাদে বছরের ৫ই জুন থেকে রাজধানীর শাহাবাগের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠনের ব্যানারে তিন দফা দাবি নিয়ে ৬০ দিনেরও বেশি সময় ধরে অবস্থান ধর্মঘট ও অনশন কর্মসূচি করছেন চাকরি প্রত্যাশীরা।

 

২০২১ সালের ৩০ মার্চ, এনটিআরসিএ'র দেয়া ৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে ৫৪৩০৪টি শূণ্য পদের জন্য অনলাইনে আবেদন চাওয়া হয়। একজন শিক্ষক তার নির্ধারিত বিষয়ে নিয়োগ পেতে একাধিক আবেদন করতে পারেন। প্রতিটি আবেদনের জন্য গুণতে হয় ১০০ টাকা করে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে অনেকেই প্রায় শতাধিক আবেদন করেছেন। তাদের দাবি, আবেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৯০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ জমা হয়েছে এনটিআরসিএর কাছে। নিয়োগের নামে অর্থ আদায়ের জন্যেই এক পদের জন্য একাধিক আবেদনের ব্যবস্থা করে রেখেছে এনটিআরসিএ। ওদিকে উত্তীর্ণরা দশ থেকে বারো বছর ধরে অপেক্ষা করছেন চাকরির জন্য, কিন্তু নিয়োগ মিলছে না।

 

এনটিআরসিএর এই অব্যবস্থাপনার কারণে বেসরকারি স্কুল-কলেজগুলোকেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর পড়াশোনা।

 

ইতিমধ্যে আন্দোলোনকারীদের সাথে সংহতি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালসহ আরও অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এনটিআরসিএ’র কার্যক্রমকে অযৌক্তিক মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

দীর্ঘদিন নিয়োগ না হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন চাকুরি বঞ্চিত নিবন্ধিত শিক্ষকেরা। সংকট সমাধানে এনটিআরসিএ’র পক্ষ থেকে এখনো কোন সমাধান কিংবা আশ্বাস পাননি আন্দোলনকারীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিআরসিএ’র এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এক আবেদনের ভিত্তিতে নিয়োগ না করা হলেও সংকটের সমাধানে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের আলাদা বদলীর ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছেন তারা।