দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম জানিয়েছেন, গাজা অভিমুখী ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনে’র (এফএফসি) নৌযান আটকে দিয়েছে ইসরায়েল। গাজায় তথ্য আদান-প্রদান, সাংবাদিকতা, ত্রান ও চিকিৎসা সহায়তার অবরোধ ভাঙার লক্ষ্যে গাজার উদ্দেশ্যে, দুনিয়ার লড়াকু মানুষদের সাথে সমুদ্রপথের এই যাত্রায় ছিলেন বাংলাদেশের শহিদুল আলম।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ৮ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার সকালে একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করে তিনি বলেন, “আমি শহিদুল আলম, একজন আলোকচিত্রী ও লেখক। আমরা সমুদ্রে আটক হয়েছি, ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী কর্তৃক অপহৃত হয়েছি— যে দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমাশক্তির সক্রিয় সহযোগিতায়, গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে।”
২৪ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তায় তিনি তার সকল সংগ্রামী বন্ধু ও সহযোদ্ধাদের প্রতি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
এফএফসি’র ট্র্যাকিং এর তথ্যমতে, গাজাগামী জাহাজ ফ্রিডম ফ্লোটিলার সকল নৌযান আটক করেছে ইসরায়েল।

গত মঙ্গলবার শহিদুল আলম জানিয়েছিলেন, ‘কনশেন্স’ যেকোনো সময়ে রেড জোনে (সর্বোচ্চ বিপজ্জনক কেন্দ্র) প্রবেশ করতে পারে।
এই দুঃসাহসিক অভিযানে যোগ দিতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা ছেড়েছেন শহিদুল আলম। এরপর গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইতালি থেকে এফএফসি’র উদ্যোগে ‘কনশেন্স’ জাহাজে চড়ে প্রায় ১০০জনসহ গাজার অভিমুখে রওনা হন। এরপর এই নৌবহরের সাথে যুক্ত হয় ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিন্স’। এই নৌবহরগুলো গাজার কাছাকাছি গিয়ে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরায়েল কর্তৃক আক্রমনের শিকার হয়। এর আগে গত ২ অক্টোবর, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শত শত অ্যাক্টিভিস্ট, মানবাধিকারকর্মী, রাজনীতিক, চিকিৎসক, লেখক, গবেষক ও সাংবাদিকদের বহনকারী গাজা অভিমুখী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র ৪০ এর অধীক নৌযান আটক করে ইসরায়েলি বাহিনী।