"দাম বাড়লে ওনার কিংবা মন্ত্রীদের কিছু হবে না, মরবো আমরা" দৃকনিউজের বিশেষ সাক্ষাৎকারে তাজরীনের অগ্নিকাণ্ড থেকে ফেরা নাসিমা আক্তার।
আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর। সন্ধ্যা ৭টার খানিক আগে তাজরীন ফ্যাশনসের নয়তলা ভবনে বেজে উঠলো ফায়ার এলার্ম। আতঙ্কিত শ্রমিকদের গালি-গালাজ করে শান্ত করতে চায় গার্মেন্ট ফ্যাক্টরির কর্মকর্তারা। যখন ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে আসছে চারদিক, শ্রমিকদের বুঝতে তখন আর বাকি থাকে না কিছুই। হুড়োহুড়ি করে বের হতে গিয়ে দেখা গেলো সব গেইট তালাবদ্ধ! পুড়ে অঙ্গার হলেন অন্তত ১১১ জন মানুষ।
লাফিয়ে পড়ে যারা বাঁচলেন, তাঁদের বেশিরভাগই সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেলেন। তারপর ক্ষতিপূরণ আর সুচিকিৎসার আশ্বাস, বিচারের প্রতিশ্রুতি। ১০ বছর পেরুলেও বিচার পাননি শ্রমিকরা, নিখোঁজ শ্রমিকদের খোঁজ মেলেনি। ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দীর্ঘশ্বাসে পরিণত হয়েছে। কারখানার মালিক পুরষ্কৃত হয়েছেন সরকার দলের বড় পদে অধিষ্টিত হয়ে৷ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতির এই সময়ে বেঁচে ফেরা শ্রমিকদের জীবন কাটছে কী করে? দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে কী করে দিনাতিপাত করছেন তাঁরা? উত্তর দিয়েছেন তাজরীন ফ্যাশনস অগ্নিকাণ্ড থেকে বেঁচে ফেরা শ্রমিক নাসিমা আকতার।