ইতালির বন্দর নগর অত্রান্তো থেকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ অবরুদ্ধ গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’। এর আগে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সহযাত্রীরা। এই সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের আলোকচিত্রী, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট ড. শহিদুল আলম। এসময় তিনি বিশ্ববাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, “জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ পৃথিবীর অষ্টম বৃহত্তম দেশ। আজকে আমরা যে প্রতিবাদের যাত্রা করেছি, সেখানে বাংলাদেশের গোটা জনসংখ্যার প্রতিবাদ আমার সঙ্গে আছে।”
সংবাদ সম্মেলন ড. শহিদুল আলমের পুরো বক্তব্য এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
আমি শহিদুল আলম, বাংলাদেশের একজন লেখক ও আলোকচিত্রী। জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ পৃথিবীর অষ্টম বৃহত্তম দেশ। বাংলাদেশের গোটা জনসংখ্যার প্রতিবাদ, আজকের এই প্রতিবাদে আমার সঙ্গে আছে। আমি বহুবার ফিলিস্তিনে যাওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু প্রতিবার ব্যর্থ হয়েছি ।
এখন আমি সেখানে যাওয়ার এই পথই (সমুদ্রপথে প্রতিবাদী যাত্রা) বেছে নিয়েছি। ইসরায়েল আমাকে বা আমাদের থামাতে পারবে না। ইসরায়েল বর্ণবৈষম্যবাদী ব্যবস্থা জারি রেখেছে, গণহত্যা চালাচ্ছে । বাংলাদেশে আমরাও দখল আর গণহত্যার সম্মুখীন হয়েছি। আমাদের সংবিধানে বলা আছে, বিশ্বের যেকোনো স্থানের নিপীড়িত জনগণের পাশে আমরা থাকব। তা সত্ত্বেও আমাদের পূর্বের সরকার ইসরায়েলের সাথে বাণিজ্য করেছে, পেগাসাস সফটওয়্যার (রাষ্ট্রীয় নজরদারি প্রযুক্তি) দিয়ে আমাদেরকে (নাগরিকদের) নজরদারি করেছিল। বিশ্বব্যাপী আন্দোলনের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তিশালী শাসনব্যবস্থার পতন ঘটেছে। ইসরায়েলের ক্ষেত্রেও আমরা তা করে নিশ্চিত করব। কিন্তু বিশ্বনেতারা এই গণহত্যায় সংশ্লিষ্ট আছেন। যেই নেতারা ট্রাম্পের শান্তি চুক্তিকে সমর্থন জানাচ্ছে তারা নিজেরাও খোদ অপরাধী। বৃহৎশক্তির এ ধরনের আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা আমরা মানি না, কারণ তারা নিজেরাই গাজার গণহত্যার সাথে সংশ্লিষ্ট।
ফিলিস্তিনের মানুষের ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষাকে স্বীকৃতি দিতে হবে। আমার সাথে ১৮ কোটি বাংলাদেশি এখানে আছেন। তারা সবাই একই সুরে বলছে, ‘ফিলিস্তিন মুক্ত হবেই হবে’।