''বৃহৎ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর জরুরিভিত্তিতে আর্থিক নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন''
২০২২-০৩-২০
![''বৃহৎ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর জরুরিভিত্তিতে আর্থিক নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন''](https://www.driknews.com/assets/backend/images/post/8maK4UYJNe.png)
মার্ক জোন্স, রয়টার্স (২ আগস্ট, ২০২১, লন্ডন)
‘বৃহৎ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর’ ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে জরুরিভিত্তিতে মুঠোয় নিয়ে আসতে হবে বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আর্থিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ছাতা সংগঠন দ্যা ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্টসের (বিআইএস) শীর্ষ কর্মকর্তারা এই মত দিয়েছেন।
বৈশ্বিক পর্যবেক্ষকরা বারংবার সাবধান করছে যে, ফেসবুক, গুগল, অ্যামাজন ও আলিবাবার মতো গোষ্ঠীগুলো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বিপুল পরিমাণ ডেটা তাদের দ্রুততার সঙ্গে আর্থিক কাঠামোতে অদল-বদল ঘটানোর সুযোগ করে দিতে পারে, যা কিনা পুরো ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করে তুলবে।
অগাস্টিন কারস্টেন্সের নেতৃত্বে একটি গবেষণাপত্রে, বিআইএস চীনকে উদাহরণ হিসেবে হাজির করেছে, যেখানে এখন মোবাইলে অর্থ লেনদেন বাজারের ৯৪ শতাংশই দখল করে আছে বড় দুটি প্রযুক্তি সংস্থা।
অন্যান্য এখতিয়ারে প্রযুক্তি সংস্থাগুলো ব্যক্তিবর্গ ও ছোট ব্যবসায় ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি বীমা এবং সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে দ্রুতই তাদের পদচিহ্ন প্রতিষ্ঠা করছে।
সোমবার প্রকাশিত বিআইএসের গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘আর্থিক পরিষেবা খাতে বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর পদার্পণের ঘটনাটি বাজার সক্ষমতা ও তথ্য নিয়ন্ত্রণের বিদ্যমান বিন্যাসকে ঘিরে নতুন সংকটের জন্ম দিচ্ছে।’
‘প্রভাবশালী এসব প্ল্যাটফর্মের উত্থান থেকে উদ্ভূত আর্থিক ব্যবস্থার অখণ্ডতার ওপর যেকোনো প্রভাব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য একটি প্রধান উদ্বেগ হওয়া উচিত।’
প্রতিবেদনটি আরও জানিয়েছে, স্ট্যাবলকয়েন, ক্রিপ্টোকারেন্সি যে বর্তমান মুদ্রার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে, আর বৃহৎ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর যেসব উদ্যোগ রয়েছে, তা মুদ্রা ব্যবস্থার জন্য ‘একটি গেম চেঞ্জার’ হতে পারে, যদি তাদের প্রবেশের ফলে সোশ্যাল মিডিয়া বা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকে আসা ডেটা নেটওয়ার্কের ওপর প্রভাব বিস্তার করে ‘বন্ধ-নির্গমন ব্যবস্থাকে (ক্লোজড-লুপ সিস্টেমস) এগিয়ে নেয়।
এটি অর্থ লেনদেনের অবকাঠামোকে বহুধাবিভক্ত করে জনস্বার্থের ক্ষতি করতে পারে। ‘দ্রুত পরিবর্তনের এসব সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আধিপত্যকারী প্ল্যাটফর্মগুলোর অনুপস্থিতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর জন্য আরামের বিষয় হওয়া উচিত নয়’, জানায় প্রতিবেদনটি।
এতে আরও বলা হয়েছে, তাদের উচিত উন্নয়নের অগ্রিম পদক্ষেপ নেওয়া এবং সম্ভাব্য পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে নীতি প্রণয়ন করা, যেখানে বৃহৎ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যেই লেনদেন ও আর্থিক ব্যবস্থার রূপ বদলে দিচ্ছে।
‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং আর্থিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর উচিত এই পরিবর্তনগুলো পর্যবেক্ষণ এবং বোঝার জন্য জরুরিভিত্তিতে বিনিয়োগ করা। এভাবেই, প্রয়োজনের সময় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তারা প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে পারে।’