তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- আইসিটি আইন বাতিল হলেও ২০১৮ সালে মানবাধিকারকর্মী ও আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক মামলা আজও চলমান। প্রায় ৪ বছর ধরে বিতর্কিত ও বাতিল ৫৭ ধারায় আইনি হয়রানিতে ভুগছেন ড. শহিদুল। বিশিষ্টজনদের মতে, সাইবার অপরাধ দমনের নামে এসব আইন মূলত ভিন্নমত দমনেই প্রয়োগ করা হচ্ছে।
২০১৮ সালে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন ফেইসবুক লাইভে প্রচার করেছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই আলোকচিত্রী। বাংলাদেশের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক সাক্ষাতকারে আন্দোলনকারীদের ওপড় নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরেন এবং এক্ষেত্রে সরকারের সমালোচনা করেন ড. শহিদুল।
এরপর শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের মাঝেই ৫ আগস্ট দৃক এবং পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ড. শহিদুল আলমকে চোখ বেঁধে ও পেছনে হাত কড়া পরিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন ৬ আগস্ট তার বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা হয়।
এই আন্দোলনে সমর্থনের কারণে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরাসহ গ্রেফতার-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন সচেতন নাগরিকরাও। মানবাধিকারকর্মী ও আলোকচিত্রী ড. শহিদুলের মুক্তির দাবিতে দেশ-বিদেশে জারি থাকে প্রতিবাদ। অবশেষে ১০৭ দিন কারাভোগের পর ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকা কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হন তিনি।
শুধু ড. শহিদুলই নন, 'নিরাপদ সড়ক আন্দোলন'কে আন্দোলনকে ঘিরে হয়রানিমূলক মামলায় বছরের পর বছর ভোগান্তি পোহাচ্ছেন অনেক শিক্ষার্থী। বাকস্বাধীনতা এবং মৌলিক অধিকার রক্ষায় দেশে বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ ও মত প্রকাশের দায়ে সকল বিতর্কিত আইনের হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার দাবি বিশিষ্টজনদের।