নাগরিক অধিকার ও পরিবেশ রক্ষা অধিকারকর্মী মিজানুর রহমানকে প্রায় ৬ ঘণ্টা আটক রাখার পর ছেড়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ- ডিবি। তবে শুরুতে মিজানুরকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে শ্যামপুর থানা ও ডিবি।
বৃহস্পতিবার ৯ জুন, সকাল ১১ টার দিকে মিজানুর রহমানকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় শ্যামপুর থানা পুলিশ। ঘণ্টাদুয়েক পর তাকে নিয়ে যাওয়া ডিবি কার্যালয়ে।
পরিবারের স্বজনদের সাথে ঢাকার জুরাইন এলাকায় থাকেন মিজানুর রহমান। দীর্ঘদিন এই এলাকার পানি সংকট, দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে অধিকার আদায়ে সোচ্চার নাগরিক হওয়ায় এলাকায় সুপরিচিত তিনি। সুন্দরবন বাঁচাও আন্দোলনসহ প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনেও সক্রিয় মিজানুর রহমান।
মিজানুরকে আটকের ঘটনায় প্রতিবাদ শুরু হয় সচেতন মহলে। সংবাদকর্মীরা দফায় দফায় খোঁজ করলে কয়েক ঘন্টা পর নিশ্চিত হওয়া যায় ডিবিতে আটক রয়েছেন মিজানুর রহমান। পরে পুলিশ দাবি করেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে তাকে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আটক করা হয়েছে মিজানকে। কারণ তিনি জনগণের অধিকার আদায়ে কথা বলেন, মুনাফাখোরদের পরাজিত করে সুন্দরবনকে বাঁচাতে চান। সকল অন্যায়-অবিচার, নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকেন মিজান। তাই স্বার্থান্বেষী মহলের প্রভাবেই এই পুলিশি হয়রানি। হয়রানি, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা, গুম, খুনের এই রাষ্ট্রে মানুষের নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে আরো বেশি জন্য সংঘবদ্ধ হওয়ার তাগিদ জানিয়েছেন এই অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
সারাদিন ডিবি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করেন মিজানের বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। বিভিন্ন মহলের প্রতিবাদের মুখে একপর্যায়ে ছাড়া পান মিজানুর রহমান।