বৃহঃস্পতিবার ১৪ই চৈত্র ১৪৩০ Thursday 28th March 2024

বৃহঃস্পতিবার ১৪ই চৈত্র ১৪৩০

Thursday 28th March 2024

আন্তর্জাতিক জলবায়ু

জলবায়ু পরিবর্তন নারী ও পুরুষকে কেন ও কতটা আলাদাভাবে প্রভাবিত করে...

২০২২-০৯-২৫

অজিত নিরঞ্জন

[নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা কম থাকে, তাদেরকে সুযোগ দেয়া হয় কম এবং নীতি-নির্ধারকদের মধ্যে অধিকাংশই যেহেতু পুরুষ, ফলে বড় বড় সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় নারীদের দিকটি তেমন আমলে নেয়া হয় না। ফলে তারা শিকার হয় আরও বেশি বৈষম্যের। বিশ্বের ধনকুবের, ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও বহুজাতিক করপোরেশনের মধ্যে অনেকেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অস্বীকার করেন। এটি তাদের নিজেদের সুবিধার্থেই। কিন্তু ধীরে ধীরে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এতটাই প্রকট ও ভয়াবহ হয়ে উঠছে যে, তা এখন অস্বীকার করাটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। অবশেষে বিশ্বনেতারা এ ব্যাপারে সচেতন হচ্ছেন। একইসাথে দেখা যাচ্ছে, জলবায়ু সংকট লিঙ্গ নিরপেক্ষও নয়। এর পিছনে ভিন্ন ভিন্ন লিঙ্গের মানুষের সংকট কীভাবে আলাদা এবং জলবায়ু পরিবর্তন কীভাবে লিঙ্গ নির্বিশেষে ভিন্নরকম প্রভাব ফেলে তা-ই উদ্‌ঘাটিত হয়েছে এই প্রতিবেদনে]

 

 

বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এলাকায় খাবার পানির সন্ধানে নারীদের প্রতিদিন বহুদূর যেতে হয়। ছবি : এবি রশিদ 

 

 

নিচুজমির জেলেদের ঘরবাড়ি ভাসিয়ে নেয়া এক বন্যা। গোটা আকাশটাকে রক্তাভ লাল ও কালো ধোঁয়ায় ঢেকে দেয়া একটা দাবানল। ফসল নষ্ট করে দেয়া এক খরা যা খাদ্যদ্রব্যের দাম আসমানে তুলে দেয়।

 

আবহাওয়ার এরকম ভয়াল অবস্থাগুলোর মধ্যে একটি জায়গায় মিল রয়েছে। তা হলো, এর পিছনে বিশেষভাবে দায়ী জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো। তবে আরও একটি মিল রয়েছে। তা হলো, এ জাতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ নারী ও পুরুষের ওপর ভিন্ন ভিন্ন প্রভাব ফেলে।

 

১৯৯১ সালে যখন বাংলাদেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘গোর্কি’ আছড়ে পড়ল, তখন পুরুষদের তুলনায় ৯ গুণ বেশি নারী মৃত্যুবরণ করেন। কেন ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার দাবানলে সেখানে পুরুষদের চেয়ে দ্বিগুণ সংখ্যক নারীকে দুর্যোগস্থল থেকে সরে যেতে চেয়েছিলেন পরিবারের সদস্যদের নিরপত্তার জন্য। কেনিয়ায় ২০০৬ সালে যখন এক খরায় ২০ লাখেরও বেশি মানুষ অনাহারে থাকতে বাধ্য হয়, সেবার সেখানে খাদ্যের জোগান নারীদের কাছে পৌঁছায় সবার শেষে।

 

১৯৯১ সালে যখন বাংলাদেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘গোর্কি’ আছড়ে পড়ল, তখন পুরুষদের তুলনায় ৯ গুণ বেশি নারী মৃত্যুবরণ করেন। কেন ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার দাবানলে সেখানে পুরুষদের চেয়ে দ্বিগুণ সংখ্যক নারীকে দুর্যোগস্থল থেকে সরে যেতে চেয়েছিলেন পরিবারের সদস্যদের নিরপত্তার জন্য। কেনিয়ায় ২০০৬ সালে যখন এক খরায় ২০ লাখেরও বেশি মানুষ অনাহারে থাকতে বাধ্য হয়, সেবার সেখানে খাদ্যের জোগান নারীদের কাছে পৌঁছায় সবার শেষে।

 

সমাজে প্রচলিত নারী-পুরুষের ভূমিকা ও বৈষম্যের কারণে নারীরা নির্দিষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। নীতি-প্রণেতাদের যুগ যুগ ধরে তা  নজরে আসেনি। এখন যখন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো দরজায় কড়া নাড়ছে, অবশেষে তারা বাধ্য হচ্ছেন এই বৈষম্যগুলো কমিয়ে আনার বিষয়ে কথা বলতে।    

 

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখন ক্ষমতাশীলদের ওপর চাপ বাড়ছে বলে জানান লিসা শিপার। তিনি আইপিসিসি (ইন্টারগভার্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ) এর ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হওয়া একটি অসামান্য প্রতিবেদনের সহ-লেখক।

 

“বড় বড় সিদ্ধান্ত নেয় যে ছোট গোষ্ঠীগুলো, আপনাকে যখন তাদের মাঝে ঢুকতে দেয়া হবে না, আপনি তখন নিজের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিয়েও কোনো সিদ্ধান্ত আর নিতে পারবেন না। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই নারীদের সাথে এমনই করা হয়।”

 

বড় বড় সিদ্ধান্ত নেয় যে ছোট গোষ্ঠীগুলো, আপনাকে যখন তাদের মাঝে ঢুকতে দেয়া হবে না, আপনি তখন নিজের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিয়েও কোনো সিদ্ধান্ত আর নিতে পারবেন না। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই নারীদের সাথে এমনই করা হয়।

 

 

জলবায়ু পরিবর্তন নারীদের ওপর বেশি প্রভাব ফেলে

যেসব মানুষকে তাদের লিঙ্গপরিচয়ের কারণে সমাজে কোণঠাসা করে রাখা হয়, তাদের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়া কিংবা তার প্রভাব কাটিয়ে ওঠা বেশি কষ্টসাধ্য।

 

নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা কম থাকে, তাদেরকে সুযোগ দেয়া হয় কম এবং নীতি-নির্ধারকদের মধ্যে অধিকাংশই যেহেতু পুরুষ, ফলে বড় বড় সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় নারীদের দিকটি তেমন আমলে নেয়া হয় না। ফলে তারা শিকার হয় আরও বেশি বৈষম্যের।   

 

নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা কম থাকে, তাদেরকে সুযোগ দেয়া হয় কম এবং নীতি-নির্ধারকদের মধ্যে অধিকাংশই যেহেতু পুরুষ, ফলে বড় বড় সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় নারীদের দিকটি তেমন আমলে নেয়া হয় না। ফলে তারা শিকার হয় আরও বেশি বৈষম্যের।   

 

খরার সময় নারীরা বাধ্য হন পানির খোঁজে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে, এমনকি অন্ধকার হয়ে আসার পরেও। ফলে সেসময় তাদের ওপর যৌন হয়রানির আশঙ্কাও বেড়ে যায়। বেশিদূর যেতে বাধ্য হওয়ার অর্থ হলো তারা বেশিবার পানি আনতে যেতে পারেন না, বা একবারেও বেশি পানি আনতে পারেন না। তাতে করে পরিবারে পানযোগ্য পানির পরিমাণ কমে যায়। ফলে খরাক্রান্ত যেসব  সমাজে নারীরা পরিবারের পুরুষ সদস্যদের খাওয়ার পরে খেতে বসেন, তাদের পান করার জন্য তলানিটুকই বাকি থাকে, পুরুষদের তুলনায় কম পানি তারা পান করেন।  এই পানির অভাব মেয়েদের মাসিক চলাকালীন পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রেও সমস্যা সৃষ্টি করে, ফলে বহু মেয়ে স্কুলে যাওয়া বাদ দিতে বাধ্য হয়।  

 

 

খুলনার দাকোপ অঞ্চলের এই নারীকে পানি আনতে বহুপথ পাড়ি দিতে হয়। ছবি: হাবিবুল হক, দৃক খুলনার দাকোপ অঞ্চলের এই নারীকে পানি আনতে বহুপথ পাড়ি দিতে হয়। ছবি: হাবিবুল হক, দৃক, ওয়াটার এইড

 

 

আবার অতিরিক্ত পানির প্রভাবেও একইরকম হয়ে থাকে। বড় কোনো বন্যার আঘাত যখন মানুষজনকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়, শৌচব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যায় এবং স্যানিটারি দ্রব্যাদি আরও দুর্লভ হয়ে পড়ে, তখন তা মেয়েদের মাসিক সম্বন্ধীয় বহু বিধি-নিষেধওয়ালা দেশগুলোতে নারীদেরকে আরও ভয়াবহ দুরাবস্থায় ফেলে দেয়।

 

২০২০ সালে ফ্রন্টিয়ার্স জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে কর্মরত নারীদের মধ্যে তিনভাগের একভাগ নারী প্রতিমাসে গড়ে ৬ দিন কাজে আসতে পারেন না। কারণ সেখানে মাসিকের প্যাড ফেলার এবং বদলানোর কোনো জায়গা নেই। আবার বিরূপ আবহাওয়ার নানান প্রভাব বেশিমাত্রায় পুরুষদের উপরও পড়ে থাকে। আমেরিকায় উচ্চতাপজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করার আশংকা নারীদের তুলনায় পুরুষদের দ্বিগুণ। কারণ তারা বাইরে খামারে এবং বাড়ি নির্মাণ জাতীয় কাজ বেশি করে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার সেই ভয়াবহ “খুনে শনিবার” এর দাবানলের সময় দেখা গেল, পুরুষদের মধ্যে নিজের ঘর ও পরিবার রক্ষা করার জন্য পিছে থেকে যাওয়ার প্রবণতা বেশি, ফলে তারা মৃত্যুবরণও করেন বেশি হারে।

 

২০১৬ সালে জিওগ্রাফিকাল রিসার্চ পত্রিকায় প্রকাশিত এক গবেষণা মোতাবেক জানা যায়, তারা এমনকী বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের পক্ষ থেকে পালিয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার পরামর্শও উপেক্ষা করে থাকেন।

 

ট্রান্সজেন্ডারদের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কীরকম হয়ে থাকে, সে ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা তেমন কোনো গবেষণা এখনও করেননি। তবে বিভিন্ন দেশের যে তথ্য হাতে রয়েছে, তা থেকে বোঝা যায় ট্রান্সজেন্ডাররা বিশ্বের বহু দেশেই গৃহহারা এবং স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বহু বৈষম্যের শিকার হন। ফলে উচ্চতাপ কিংবা ঝড় জাতীয় জলবায়ু দুর্যোগগুলো তাদেরকে আরও ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে।

 

 

অস্ট্রেলিয়ার দাবানল। ছবি : বিবিসি

 

 

কর্তৃপক্ষের করণীয়

২০১৫ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা বর্তমান বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক-শিল্পবিপ্লব যুগের চেয়ে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশির মধ্যে রাখার লক্ষ্যে “প্যারিস চুক্তি” সাক্ষর করেন। তারা একমত হয়েছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে হলে সেইসাথে লৈঙ্গিক বৈষম্যের সমস্যাকেও চিহ্নিত করতে হবে। তা করতে হলে নীতি-প্রণেতাদের সর্বপ্রথম কাজ করতে হবে চলমান অসমতা রোধ করার মাধ্যমে এবং বৈষম্যবাদী ক্ষমতা কাঠামোর পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে। এর মানে দাড়াঁয়, অর্থ এবং সুবিধার সমান বণ্টন এবং জলবায়ু সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সকল পরিচয়ের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

 

“আজ অব্ধি এরকম পরিবর্তনের নজির খুব একটা নেই” জানান লেখকেরা। তবে নারীদেরকে বিভিন্ন অভিযোজন প্রকল্পের সাথে যুক্ত করে এবং জাতীয়ভাবে জলবায়ু সংক্রান্ত কোনো নীতি প্রণয়ন করার আগে লিঙ্গের বিষয়টিকে আমলে নিলে সেই পরিবর্তন ধীরে ধীরে সম্ভব।

 

কিন্তু একজন বিজ্ঞানী হিসেবে যে জিনিসটা আমাকে খুব হতাশ করে তা হলো, এসব জানার পরেও মেয়েদের প্রতিনিধিত্বের সুযোগ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার রক্ষার ব্যাপারে কিছুই করা হচ্ছে না।

 

“আমরা যা লিখেছি তা আসলে খুব নতুন কিছু না,” আইপিপিসি’র প্রতিবেদনের সহ-লেখক মার্টিনা কারেটা বলেন।

 

“কিন্তু একজন বিজ্ঞানী হিসেবে যে জিনিসটা আমাকে খুব হতাশ করে তা হলো, এসব জানার পরেও মেয়েদের প্রতিনিধিত্বের সুযোগ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার রক্ষার ব্যাপারে কিছুই করা হচ্ছে না।”

 

 

                       তরুণদের জলবায়ু রক্ষা আন্দোলনে মুখ্য অবদান রাখছে গ্রেটা থানবার্গের মতো মেয়েরা। ছবি : ডয়চে ভেলে  

 

 

নারীরা পুরুষদের চেয়ে কম দূষণ ঘটায়

নারীদের ন্যায্য প্রতিনিধিত্বের সুযোগ জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সহায়তা করতে পারে। এপ্রিল মাসে আইপিপিসি’র আরেক প্রতিবেদন মোতাবেক, নারীরা পুরুষদের চেয়ে কম দূষণ করে। কারণ তারা খায় কম এবং গাড়িও চালায় কম। জার্মানি এবং সুইডেনে পুরুষেরা নারীদের চেয়ে যথাক্রমে ৮% এবং ২২% বেশি পরিমাণে শক্তি খরচ করে থাকে।

 

আইপিপিসি’র সিনিয়র বিজ্ঞানী মিনাল পাঠাক জানান “নারীরা অধিক পরিমাণে পরিবেশ সচেতন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে” কিন্তু এর অন্যতম কারণ হলো, নারীরা অধিকাংশ সমাজে সেরকম দূষণ করার মতো জীবনযাপন করার সুযোগই পায় না। “কিছু ক্ষেত্রে তারা স্বেচ্ছায়ই এমন জীবনযাপন করেন, আবার কিছু ক্ষেত্রে তাদের এছাড়া আর কোনো উপায়ই থাকে না।”

 

বিজ্ঞানীরা আরও প্রমাণ পেয়েছেন যে, নারীরা কাঠামোগত পরিবর্তনেও বেশি অবদান রাখেন। সুইডেন থেকে উগান্ডা, ভারত থেকে ফিলিপিন্স পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তন রোধে যত বড় আন্দোলন হয়েছে তার অধিকাংশেরই নেতৃত্ব দিয়েছে মেয়েরা। যেসব দেশে মেয়েদের রাজনৈতিক কণ্ঠস্বর অপেক্ষাকৃত বেশি জোরদার সেসব দেশে কার্বন দূষণের পরিমাণ কম।

 

 

  নারী শাসিত অঞ্চলে জলবায়ু রক্ষার নীতি লঙ্ঘনের বহু নজির রয়েছে। জার্মানীর সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। ছবি: ডয়চে ভেলে

 

 

যদিও এমন অনেক নজির রয়েছে নারী শাসিত অঞ্চলে জলবায়ু রক্ষার নীতি লঙ্ঘনের। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের কথা। যিনি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের গাড়ির ইন্ডাস্ট্রির পুনর্গঠন বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তবু অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুরুষশাসিত অঞ্চলের চেয়ে তাদের দূষণের পরিমাণ কম। এসব ক্ষেত্রে নারী কতটা দূষণ প্রবণ শিল্পগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করছেন, আর কতটা জনস্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করছেন, সেটাই বিবেচ্য। সাধারণভাবে,গোটা সমাজজুড়ে নারীরা ভোটের ক্ষেত্রে, কর্মক্ষেত্রে, কেনাকাটায়, সামাজিকতায়, সবকিছুতে জলবায়ু রক্ষার বিষয়টিকে আলাদা প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। পুরুষদের চেয়ে নারীদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অস্তিত্ব অস্বীকারের প্রবণতা কম।

 

গোটা সমাজজুড়ে নারীরা ভোটের ক্ষেত্রে, কর্মক্ষেত্রে, কেনাকাটায়, সামাজিকতায়, সবকিছুতে জলবায়ু রক্ষার বিষয়টিকে আলাদা প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। পুরুষদের চেয়ে নারীদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অস্তিত্ব অস্বীকারের প্রবণতা কম।

 

“নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ আরও বাড়িয়ে নেয়া গেলে তা জলবায়ুনাশ রোধের আন্দোলন আরও সবল করবে,” পাঠক বলেন। “যেসব দেশে নারীদের নিজস্ব রাজনৈতিক কণ্ঠস্বর আছে, সেসব দেশই এর প্রমাণ।“ 

 

 

ডয়চে ভেলে প্রকাশিত অজিত নিরঞ্জনের প্রতিবেদন

তর্জমা : মাহীন হক

Your Comment