শনিবার ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১ Saturday 27th April 2024

শনিবার ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১

Saturday 27th April 2024

আন্তর্জাতিক দক্ষিণ এশিয়া

বিজেপির অমিত মালব্য রিপোর্ট করলেই উধাও হচ্ছে ইনস্টাগ্রাম পোস্ট!

২০২২-১০-১৭

দ্য ওয়্যার থেকে অনূদিত

[সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামের ক্রিঞ্জআর্কাইভিস্ট পেইজ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে বিদ্রূপাত্মক একটি পোস্ট। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যার বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানতে পেরেছে যে, এর কারণ বিজেপির আইটি সেলের সভাপত অমিত মালব্য রিপোর্ট করার ফলেই ঘটনাটি ঘটেছে এবং এটিই এ ধরনের প্রথম ঘটনা নয়। বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য দ্য ওয়্যার এর প্রতিবেদনটি অনুবাদ করে প্রকাশ করছি আমরা।]


 


 

সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম বিদ্রূপমূলক বেনামী অ্যাকাউন্ট ‘সুপারহিউম্যানস অব ক্রিঞ্জটোপিয়া’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও সরিয়ে দিয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছিলো যে, উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা প্রভাকর মৌর্য প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের একটি মূর্তিকে পূজা করছেন। ভিডিওটি সরানোর কারণ হিসেবে ইনস্টাগ্রাম বলছে যে, এটি তাদের ‘নগ্নতা ও যৌনতা বিষয়ক বিধিমালা’ ভঙ্গ করে। বিষয়টা অদ্ভুত- কারণ ভিডিওতে মানুষ এবং মূর্তি দুজনের শরীরই সম্পূর্ণ আবৃত ছিলো। তাছাড়া, কোনো ধরনের যৌন ইঙ্গিতও সেখানে ছিলো না।

 

সে সময়ে ক্রিঞ্জআর্কাইভিস্ট অ্যাকাউন্টটি যাঁরা চালান, তাঁরা ধারণা করেছিলেন যে, প্ল্যাটফর্মটির স্বয়ংক্রিয় বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত ব্যবস্থায় কোনো ত্রুটি হয়েছে, যার ফলে পোস্টটিকে ভুলবশত নগ্নতার প্রদর্শক হিসেবে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। অ্যাকাউন্টের সঙ্গে জড়িত এই ব্যক্তিরা নিজেদেরকে শিক্ষক ও সাংবাদিকদের একটি দল হিসেবে পরিচয় দেন।

 

সে সময়ে ক্রিঞ্জআর্কাইভিস্ট অ্যাকাউন্টটি যাঁরা চালান, তাঁরা ধারণা করেছিলেন যে, প্ল্যাটফর্মটির স্বয়ংক্রিয় বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত ব্যবস্থায় কোনো ত্রুটি হয়েছে, যার ফলে পোস্টটিকে ভুলবশত নগ্নতার প্রদর্শক হিসেবে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। অ্যাকাউন্টের সঙ্গে জড়িত এই ব্যক্তিরা নিজেদেরকে শিক্ষক ও সাংবাদিকদের একটি দল হিসেবে পরিচয় দেন।

 

 


 

 

পোস্ট করার দুই মিনিটের মধ্যেই পোস্টটি সরিয়ে ফেলে ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষ। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় নগ্নতা ও যৌনতার ইঙ্গিতকে।
 

 

পোস্ট সরিয়ে ফেলার এই ঘটনার কয়েকদিন পরে দ্য ওয়্যার মেটার একটি বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকে জানতে পারে যে, অ্যালগরিদমিক ত্রুটির কারণে এটি ঘটেনি। পোস্ট করার মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভিডিওটি সরিয়ে ফেলার একমাত্র কারণ এটি @amitmalviya নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে রিপোর্ট করা হয়েছিলো। এটি ভারতীয় জনতা পার্টির কুখ্যাত আইটি সেলের সভাপতি অমিত মালব্যর অ্যাকাউন্ট।

 

ইনস্টাগ্রামের যে অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনটি দ্য ওয়্যার এর হাতে এসেছে সেখান থেকে স্পষ্টভাবে জানা যায় যে, পোস্টটি রিপোর্ট করার পর তাৎক্ষণিকভাবে সেটিকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ইনস্টাগ্রামের মডারেটরদের তদারকি ছাড়াই এবং কেবল এ কারণে যে, অমিত মালব্য সেটিকে রিপোর্ট করেছেন। এমনকি মালব্য যে পোস্টই রিপোর্ট করেন সেটিরই এই একই দশা হয়– কোনো প্রশ্ন না করেই ইনস্টাগ্রাম থেকে সেটিকে সাথে সাথে সরিয়ে ফেলা হয়। মেটার পূর্বোক্ত সূত্র দ্য ওয়্যারকে জানায় যে, শুধু গত সেপ্টেম্বরেই মালব্য ইনস্টাগ্রামে ৭০৫টি পোস্ট রিপোর্ট করেছেন, যার সবগুলোই সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

 

ইনস্টাগ্রামের যে অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনটি দ্য ওয়্যার এর হাতে এসেছে সেখান থেকে স্পষ্টভাবে জানা যায় যে, পোস্টটি রিপোর্ট করার পর তাৎক্ষণিকভাবে সেটিকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ইনস্টাগ্রামের মডারেটরদের তদারকি ছাড়াই এবং কেবল এ কারণে যে, অমিত মালব্য সেটিকে রিপোর্ট করেছেন। এমনকি মালব্য যে পোস্টই রিপোর্ট করেন সেটিরই এই একই দশা হয়– কোনো প্রশ্ন না করেই ইনস্টাগ্রাম থেকে সেটিকে সাথে সাথে সরিয়ে ফেলা হয়। মেটার পূর্বোক্ত সূত্র দ্য ওয়্যারকে জানায় যে, শুধু গত সেপ্টেম্বরেই মালব্য ইনস্টাগ্রামে ৭০৫টি পোস্ট রিপোর্ট করেছেন, যার সবগুলোই সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
 

দ্য ওয়্যার এর তথ্য অনুযায়ী, @cringearchivist নামের অ্যাকাউন্টটির সাতটি পোস্ট গত কয়েক মাসে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বিদ্রূপমূলক এই অ্যাকাউন্টটির পরিচালকেরা জানান যে, এর ফলে তাঁদেরকে অ্যাকাউন্টটি ‘প্রাইভেট’ করে ফেলতে হয়েছে (অর্থাৎ কেবল ফলোয়াররাই তাঁদের পোস্ট দেখতে পাবেন), এর ফলে তাঁদের পেজটি আগের চাইতে কম মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে। এখন এই পেইজে প্রকাশিত কনটেন্ট দেখার জন্য ফলোয়ারদেরকে আগে একটি ফর্ম পূরণ করতে হয়।
 

এ পেইজের অন্য যেসব পোস্ট সরিয়ে ফেলা হয়েছে, সেগুলোও মালব্যই রিপোর্ট করেছিলেন বলে জানতে পেরেছে দ্য ওয়্যার। এর মধ্যে দুটি পোস্ট সরানো হয়েছে যৌনতার অভিযোগে। এ দুটি পোস্টের একটি হলো আদিত্যনাথ মন্দিরের সেই পোস্ট, আর অন্যটিতে একজন নারী ইনফ্লুয়েন্সার পোস্ট করেছিলেন কী কী অশালীন মেসেজ তাঁকে পেতে হয়। এছাড়া অন্য কনটেন্টগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে ‘চূড়ান্ত গ্রাফিক সহিংসতা’ থাকার কারণে, যদিও সেসব ভিডিওতে কোনো ধরনের সহিংসতা দেখানো হয়নি। যে হারে ও গতিতে ইনস্টাগ্রাম তাঁদের পোস্টগুলো সরিয়ে ফেলছে তা নিয়ে পেইজটির পরিচালকেরা শঙ্কিত। তাঁদের আশঙ্কা, এভাবে চলতে থাকলে তাঁদের পেইজটি পাকাপাকিভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
 

ক্রিঞ্জ আর্কাইভিস্ট পোস্ট বিষয়ে ইনস্টাগ্রামের ঐ প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, অমিত মালব্য মেটার ‘ক্রসচেক’ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। ২০২১ সালে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এর মাধ্যমে প্রথমবার প্রকাশ্যে আসার আগে এই প্রকল্প কঠোরভাবে গোপনীয় ছিলো। এই প্রকল্পে মেটা প্ল্যাটফর্মগুলোতে ‘অভিজাত’ অ্যাকাউন্টগুলোর একটি তালিকা করা হয় (বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যেগুলো বিখ্যাত ব্যক্তি ও রাজনীতিবিদদের)। এসব নামীদামী ব্যবহারকারীদের সুরক্ষিত করার আড়ালে কোম্পানিটি যেসব নীতি সবার জন্য প্রয়োগ করার দাবি করে, সেগুলোকে তারা নিজেরাই লঙ্ঘন করে

 

ইনস্টাগ্রামের মূল কোম্পানি হলো মেটা, যা ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপেরও মালিক। ক্রিঞ্জ আর্কাইভিস্ট পোস্ট বিষয়ে ইনস্টাগ্রামের ঐ প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, অমিত মালব্য মেটার ‘ক্রসচেক’ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। ২০২১ সালে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এর মাধ্যমে প্রথমবার প্রকাশ্যে আসার আগে এই প্রকল্প কঠোরভাবে গোপনীয় ছিলো। এই প্রকল্পে মেটা প্ল্যাটফর্মগুলোতে ‘অভিজাত’ অ্যাকাউন্টগুলোর একটি তালিকা করা হয় (বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যেগুলো বিখ্যাত ব্যক্তি ও রাজনীতিবিদদের)। এসব নামীদামী ব্যবহারকারীদের সুরক্ষিত করার আড়ালে কোম্পানিটি যেসব নীতি সবার জন্য প্রয়োগ করার দাবি করে, সেগুলোকে তারা নিজেরাই লঙ্ঘন করে।  সেলিব্রেটি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ফলে কখনো কখনো যে সমালোচনা আসে, তা ঠেকাতে এই প্রকল্পটি তৈরি করা হয়েছিল।
 

দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল একটি অভ্যন্তরীণ মতামত থেকে আরো জানতে পারে যে, মেটার ভেতরেও ক্রসচেক প্রকল্প বেশ সমালোচিত। সমালোচকদের মতে, “এসব ব্যবহারকারী কোনো ধরনের জবাবদিহিতা ছাড়াই মেটার বিধিমালা ভঙ্গ করতে পারেন, যা আমাদের কমিউনিটির অন্য ব্যবহারকারীরা পারেন না।”

 

দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এর সে সময়ের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কিছু ব্যবহারকারী “সাদা তালিকায়” রয়েছেন। এঁরা নীতি প্রয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যবস্থার ঊর্ধ্বে। এছাড়া আছেন আরও কিছু ব্যবহারকারী যারা ফেসবুকের নীতি লঙ্ঘন করে পোস্ট দিলেও সেগুলোকে ফেসবুকের কর্মচারীদের পর্যবেক্ষণের জন্য ফেলে রাখা হয়, আর এই পর্যবেক্ষণ কখনো কখনো আদৌ কোনদিন আসে না। ক্রিঞ্জ আর্কাইভিস্ট পেইজের পোস্ট সরিয়ে ফেলা বিষয়ক ইনস্টাগ্রাম প্রতিবেদন থেকে এ বিষয়টি স্পষ্ট যে, ক্রসচেক প্রকল্পের সুবিধার পরিধি আরো বিস্তৃত। এসব ব্যবহারকারী তাঁদের খেয়ালখুশিমতো এবং কোম্পানির হস্তক্ষেপ ছাড়াই অন্যের পোস্ট সরিয়েও দিতে পারেন।
 

দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল একটি অভ্যন্তরীণ মতামত থেকে আরো জানতে পারে যে, মেটার ভেতরেও ক্রসচেক প্রকল্প বেশ সমালোচিত। সমালোচকদের মতে, “এসব ব্যবহারকারী কোনো ধরনের জবাবদিহিতা ছাড়াই মেটার বিধিমালা ভঙ্গ করতে পারেন, যা আমাদের কমিউনিটির অন্য ব্যবহারকারীরা পারেন না।” সংবাদমাধ্যমটির মতে, ২০২১ সালের প্রথমার্ধেই এই “সাদা তালিকাকরণ’ প্রক্রিয়া বাদ দিয়ে দেওয়া হবে- এমনই ছিলো কোম্পানিটির পরিকল্পনা। এখন আমরা ২০২২ সালের শেষার্ধে আছি- এবং মালব্য ও ক্রিঞ্জ আর্কাইভিস্টের এই ঘটনা থেকে স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে, ক্রসচেকের অন্তর্ভুক্ত ব্যবহারকারীরা এখনও এমন কিছু বিশেষ সুবিধা ভোগ করছেন, যার ফলে মেটা প্ল্যাটফর্মের অন্যান্য ব্যবহারকারীদের অধিকার লঙ্ঘিত হয়।
 

দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আরো জানায় যে, ২০২০ সালে দুনিয়াজুড়ে ২০ লক্ষ মানুষ ক্রসচেক প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। ব্যবহারকারীদের সাধারণত আলাদাভআবে জানানো হয় না যে তাঁরা এই প্রকল্পে যুক্ত আছেন। সংবাদমাধ্যমটির প্রকাশিত এই বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্তদের নামের তালিকায় ব্রাজিলের ফুটবলার নেইমারের মতো লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার থাকা তারকা থাকলেও ইনস্টাগ্রামে মালব্যর ফলোয়ার সংখ্যা ৫০০০ এরও কম এবং ফেসবুকে সংখ্যাটা মাত্র ১৫০০০। অর্থাৎ ভারতের ক্ষমতাসীন দলের সদস্যতা ও ভূমিকাই তাঁকে ক্রসচেক তালিকায় প্রবেশাধিকার দিয়েছে। মেটা প্ল্যাটফর্মগুলোর অন্যান্য ব্যবহারকারীদের জন্য তাঁর মতামত গুরুত্বপূর্ণ- এ ধরনের কোনো ভাবনা থেকে ক্রসচেকের অন্তর্ভুক্ত হননি তিনি।

 

আদিত্যনাথ মন্দিরের ভিডিওটির রহস্যজনক অপসারণের বিষয়ে ইনস্টাগ্রামের অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন বলছে যে, “স্বয়ংক্রিয় তদারকি উপেক্ষা করা হয়েছে। কারণ: রিপোর্ট যিনি করেছেন তাঁর ক্রসচেক সুবিধা আছে।” এরপর বলা হয়েছে, “পুনঃমূল্যায়নের প্রয়োজন নেই। কারণ: রিপোর্ট যিনি করেছেন তাঁর ক্রসচেক সুবিধা আছে।”

 

মেটা কখনও ক্রসচেক অ্যাকাউন্টের অস্তিত্বের কথা জনসমক্ষে স্বীকার করেনি। বিশ্বের বিভিন্ন অংশে তদন্তের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু নাম উঠে আসলেও ভারতে ক্রসচেক প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার বিষয়টি এতোদিন অজানাই থেকে গেছে। ভারতে যাঁরা এই বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন তাঁদের মধ্যে মালব্য রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে দ্য ওয়্যার, অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়ায় এ ধরনের সুবিধাভোগীদের মধ্যে মালব্যর নামই প্রথম সামনে এসেছে। আদিত্যনাথ মন্দিরের ভিডিওটির রহস্যজনক অপসারণের বিষয়ে ইনস্টাগ্রামের অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন বলছে যে, “স্বয়ংক্রিয় তদারকি উপেক্ষা করা হয়েছে। কারণ: রিপোর্ট যিনি করেছেন তাঁর ক্রসচেক সুবিধা আছে।” এরপর বলা হয়েছে, “পুনঃমূল্যায়নের প্রয়োজন নেই। কারণ: রিপোর্ট যিনি করেছেন তাঁর ক্রসচেক সুবিধা আছে।”
 

অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন থেকে এটা পরিষ্কার যে, মালব্য ক্রিঞ্জ আর্কাইভিস্টের পোস্ট রিপোর্ট করার পর মেটা তাদের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বা কোনো পুনঃমূল্যায়নই “আবশ্যক” বলে মনে করেনি।
 

মালব্যর এর আগে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর এবং উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার  ইতিহাস আছে। যেমন, ২০২০ সালে টুইটার তাঁর একটি পোস্টকে ‘মিডিয়া ম্যানিপুলেশন’ এর দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছিলো। দেখা যাচ্ছে, মেটার সুবিধাভুক্তদের তালিকা থেকে তাঁকে বাদ দেওয়ার জন্য সেটিও যথেষ্ট নয়।

 

মালব্যর এর আগে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর এবং উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার  ইতিহাস আছে। যেমন, ২০২০ সালে টুইটার তাঁর একটি পোস্টকে ‘মিডিয়া ম্যানিপুলেশন’ এর দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছিলো। দেখা যাচ্ছে, মেটার সুবিধাভুক্তদের তালিকা থেকে তাঁকে বাদ দেওয়ার জন্য সেটিও যথেষ্ট নয়।

 

কোম্পানিটি মালব্যকে দুই স্তরের সুবিধা দিয়েছে- প্ল্যাটফর্মের বিধিমালার ঊর্ধ্বে গিয়ে তিনি যা খুশি পোস্ট করতে পারেন এবং তিনি নিজের খেয়ালখুশিমতো বিজেপি, কেন্দ্র সরকার বা ডানপন্থী হিন্দু রাজনীতির সমালোচনা করে দেওয়া যে কোনো পোস্ট তিনি সরিয়ে দিতে পারেন।
 

মালব্যর গুজব ছড়ানোর ঘটনার মধ্যে আছে ২০১৯ সালের ছবি দিয়ে সেটিকে মোদির পক্ষে সাম্প্রতিক মিছিল হিসেবে দাবি করা, দিল্লি সরকারের শিক্ষা কর্মসূচি নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস এর সাম্প্রতিক প্রবন্ধকে ‘অর্থের বিনিময়ে প্রচারণা’ আখ্যা দেওয়া ইত্যাদি। নিয়মিত গুজব ছড়ানোর জন্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করেন এমন একজন ব্যক্তিকে এ ধরনের সুবিধা দেওয়ার বিষয়টিই প্রমাণ করে যে, সাধারণ ব্যবহারকারীদের স্বার্থ রক্ষা মেটার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নয়। কেননা যেখানে আমরা বাকিরা মেটা প্ল্যাটফর্মে এ ধরনের অসত্য তথ্য দিয়ে পার পেয়ে যাবো না অথবা কোনো ভিন্নমত বা সমালোচনার অস্তিত্ব বিলীন করে দিতে পারবো না, সেখানে মালব্য নিশ্চিতভাবেই এসব করতে পারবেন।
 

দ্য ওয়্যার থেকে অনূদিত।

Your Comment